ডোমেইন এবং হোস্টিং কি? কিভাবে কিনতে হয়ে? এবং যে ৩টি বিষয় অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে ।
অনেকেই তার বিজনেসের জন্যে নতুন একটা ওয়েবসাইট বানানোর কথা চিন্তা করছেন বা এর আগে ওয়েবসাইট সম্পর্কিত বিষয়গুলোতে তেমন একটা ধরণা নেই এমন অনেকেরই জিজ্ঞাসা থাকে যে ডোমেইন এবং হোস্টিং কি? কিভাবে কিনতে হয় ডোমেইন এবং হোস্টিং এবং ৩ টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয় যা খেয়াল না রাখলে ডোমেইন এবং হোস্টিং কেনার পরে ভবিষ্যতে আপনি ভোগান্তির শিকার হতে পারেন । এই ব্লগটির মাধ্যমে ডোমেইন এবং হোস্টিং এর সামগ্রিক বিষয় তুলে ধরা হলো যাতে ডোমেইন এবং হোস্টিং সম্পর্কে আপনার ধারণা একবারে পরিষ্কার হয়ে যায়।
ডোমেইন কিঃ
তো প্রথমেই আসি ডোমেইন কি ? খুব সহজে যদি বলি তাহলে যেকোন ওয়েবসাইটের নামই হচ্ছে তার ডোমেইন। একটা উদাহরণ দিয়ে যদি বলি ফেসবুক একটি ওয়েবসাইট আর এর ডোমেইন হলোঃ www.facebook.com যা আমরা যেকোন ব্রাউজারের এড্রেসবারে টাইপ করে ইন্টার দিলেই ফেসবুকের ওয়েবসাইটে নিয়ে যাবে।
পৃথিবীর প্রতিটি ডোমেইন ইউনিক অর্থাৎ www.facebook.com নামে পৃথিবিতে একটাই ডোমেইন রয়েছে । ডোমেইন হচ্ছে একটা ওয়েবসাইটের ঠিকানা, যেমন পৃথিবীর সকল ঠিকানাই ইউনিক এবং অই ঠিকানায় একটা নির্দিষ্ট গন্তব্যেই আপনি পউছাবেন ঠিক তেমনি www.facebook.com লিখলে আপনি ফেসবুকের ওয়েবসাইটেই যাবেন গুগলের ওয়েবসাইটে নয় । এমনকি পৃথিবীর সকল URL এ স্বতন্ত্র । আপনি যদি আপনার ব্রাউজের এড্রেসবারে খেয়াল করেন তাহলে যেই URL/Link টি আপনি দেখতে পাচ্ছেন এটিও স্বতন্ত্র । এই URL/Link টি আপনি যাকে শেয়ার করবেন সে এই লিঙ্কে গেলে এই পাতায়ই দেখতে পাবে ।
একটা ওয়েবসাইট করার সময় আপনাকে ডোমেইন এবং হোস্টিং কিনতে হয় । পৃথিবিতে অনেক ডোমেইন এবং হোস্টিং কিনতে হয় । ডোমেইন এবং হোস্টিং এর দাম বিভিন্ন রকম হয়ে থাকে তবে সবে বেশি ব্যবহৃত .com ডোমেইন এর দাম সাধারনত ৯ থেকে ১৩ ডলারের মধ্যে হয়ে থাকে [যেই সময়ে সময়ে এই ব্লগটি লেখা হচ্ছে সেই হিসাবে এবং প্রিমিয়াম ডোমেইন বাদে ] যা বাংলা টাকায় ১০০০/- থেকে ১৪০০/- মধ্যে হয়ে থাকে । তবে অনেক সময় অনেক প্রভাইডার বিভিন্ন ধরনের অফার প্রাইজে ডোমেইন সেল করে থাকে । .com ডোমেইন হিসাবে ১৯৮৫ সালের ১৫ মার্চ পৃথিবীর সর্বপ্রথম symbolics.com নিবন্ধিত হয়। .com ছাড়াও আরো অনেক ধরনের ডোমেইন এক্সটেনশন আছে যেমন .net , .org, .co, .io, .biz, .xyz ইত্যাদি । এছাড়াও অনেকে .com.bd বা .edu.bd যা শুধুমাত্র bdia.btcl.com.bd থেকে নেয়া যায় । আর প্রভাইডার আলাদা হলেও পৃথিবীর সকল ডোমেইন Internet Corporation for Assigned Names and Numbers (ICANN) এ নিবন্ধিত হয় । আশা করি ডোমেইন কি এ ব্যপারে আপনাদের ধারণা পরিষ্কার হয়েছে ।
ডোমেইন কিভাবে কিনবেন?
প্রথমে আপনাকে যেটা করতে হবে আপনার ওয়েবসাইটের জন্য একটি ডোমেইন নেম সিলেক্ট করতে হবে ।সাধারণত বিজনেস নামের সাথে মিল রেখে কেনা হয় ডোমেইন নেম সিলেক্ট . যেমন ধরুন আমাদের বিজনেসের নাম Care Ecom এবং ওয়েবসাইট ডোমেইন নেম হলোঃ www.careecom.com । সুতরাং আপনি বুঝতেই পারছেন আপনার ওয়েবসাইটের ডোমেইন নেম কিভাবে সিলেক্ট করবেন । আপনি যেই ডোমেইনটা সিলেক্ট করেছেন প্রথমে আপনাকে চেক করতে হবে এই ডোমেইন টা এভেইলেভেইল আছে কি না, নাকি কেউ ইতিমধ্যে কিনে রেখেছে । যদি কেউ কিনে ফেলে আগেই তাহলে সেইটা আপনি আর কিনতে পারবেন না। অনেকে আবার কিনে রেখে দেয় এর পরে বেশি দামে বিক্রি করে । ডোমেইন সাধারণত সবাই ১ বছর মেয়াদে কেনে এবং প্রতি বছর রিনিও করে । যাইহোক ডোমেইন কেনার জন্যে অনেক প্রভাইডার আছে নিচে বেশ কিছু জনপ্রিয় ডোমেইন হোস্টিং প্রভাইডার কোম্পানির নাম দেয়া হলঃ
হোস্টিং কি এবং কিভাবে কাজ করে?
খুব সহজ ভাষায় বলতে গেলে হোস্টিং হচ্ছে এমন একটি স্পেস বা মেমোরি যা আপনার ওয়েবসাইটের সকল প্রোপারটি স্টোর করে রাখে । আমরা সবাই কম্পিউটারের হার্ডডিস্ক সম্পর্কে জানি যেখানে আমরা বিভিন্ন রকম ফাইল স্টোর করে রাখি এবং কম্পিউটারটা যখন অন করে রাখা হয় তখন আমরা এই ফাইলগুলো এক্সেস করতে পারি । হোস্টিং হচ্ছে ইন্টারনেটের সাথে কানেক্টেড এমনই একটি হার্ডডিস্ক যেখানে মূলত আমাদের ওয়েবসাইটের প্রপার্টিগুলো হোস্ট করা থাকে এবং ইন্টারনেট ইউজাররা ওয়েব ব্রাউজার এর মাধ্যমে দিন রাত ২৪ ঘন্টা যেকোনো সময় আমাদের এই ওয়েবসাইট ব্রাউজ করতে পারে।
ডোমেইন এবং হোস্টিং যে ৩টি বিষয় অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবেঃ
- সবসময় নিজের ইমেল এড্রেসে দিয়ে ডোমেইন এবং হোস্টিং কিনবেন, কোন এজেন্সি বা পরিচিত কারো ইমেলে নয় ।
- হোস্টিং ক্যপাসিটি, ইমেল এড্রেস কতগুলো খোলাযাবে, সিকিউরিটি কেমন এবং রেস্পন্সটাইম বা কোন লোকেনশনের সার্ভার এগুলো ভালো করে বুঝে নিবেন।
- হোস্টিং এর ব্যাকাপ পলিসি চেক করে নিবেন ।
লাখ টাকার ব্রান্ড এঙ্গেজমেন্ট ফ্রিতে – মোমেন্ট মার্কেটিং
সম্প্রতি সময়ে মোমেন্ট মার্কেটিং অনলাইন বিজনেস গুলোর জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বর্তমান সময়ে ডিজিটাল মার্কেটিং এর একটি গুরুত্বপূর্ণ পার্ট হয়ে উঠেছে মোমেন্ট মার্কেটিং। সঠিকভাবে এবং সঠিক সময় মোমেন্ট মার্কেটিং করতে পারলে লাখ লাখ টাকার ব্র্যান্ড এনগেজমেন্ট আপনি ফ্রিতেই পেতে পারেন। ইদানিং অনেক বিজনেস তাদের সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম গুলো থেকে মোমেন্ট মার্কেটিং করছে।
মোমেন্ট মার্কেটিং কি?
মোমেন্ট মার্কেটিং শব্দটা শুনেই হয়তো আপনি বুঝতে পারছেন এটি কি ধরনের মার্কেটিং। একেবারে ট্রেন্ডি বা রিসেন্টলি ভাইরাল হওয়া কোন টপিক, ইস্যু বা ইভেন্টরে সাথে রিলেট করে আপনার বিজনেসগুলো যে কনটেন্ট তৈরি করে সেটার মার্কেটিং করে মোমেন্ট মার্কেটিং হিসেবে পরিচিত।
উপরের এই ছবিগুলো দেখে আপনি নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন যে ইন্টারনেটে ভাইরাল হওয়া কন্টেইনগুলোর সাথে নিজেদের বিজনেস নিস রিলেট করে কিভাবে কনটেন্ট তৈরি করেছে বিজনেস গুলো। মোমেন্ট মার্কেটিং এর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল রাইট টাইমে রাইট কনটেন্ট তৈরি করা। ট্রেন্ড খুব দ্রুতই চেঞ্জ হয় এবং একটা টপিক খুব বেশি দিন ভাইরাল থাকে না। তাই যখন যে জিনিসটা ট্রেন্ডিং থাকবে রাইট মোমেন্টামে সেইটা কাজে লাগাতে হবে। সময়ের পাশাপাশি আপনাকে অবশ্যই কনটেন্টের দিকে খেয়াল রাখতে হবে। শুধুমাত্র ট্রেন্ডিং হলেই আপনার বিজনেসে আপনার বিজনেসের সাথে যায় না এমন কনটেন্ট তৈরি করা যাবে না বা জোর করে আপনার বিজনেসের সাথে রিলেট করাও উচিত হবে না। এক কথায় লেইম কন্টেন্ট প্রডিউস করা যাবে না এবং কিছু বিজনেসের ক্ষেত্রে মোমেন্ট মার্কেটিং প্রযোজ্যও নয়।
মোমেন্ট মার্কেটিং কেন গুরুত্বপূর্ণ?
আপনি যদি একজন নিয়মিত সোশ্যাল মিডিয়া ইউজার হয়ে থাকেন তবে আপনার পরিচিত বা প্রিয় অনেক ব্রান্ডেরই মোমেন্ট মার্কেটিং আপনার চোখে পড়েছে। দিন দিন ব্যাপক জনপ্রিয় হচ্ছে মোমেন্ট মার্কেটিং, ছোট বড় সব ধরনের বিজনেস এখন মোমেন্ট মার্কেটিং করছে। ঢালাওভাবে সব বিজনেসের জন্য না হলেও অধিকাংশ বিজনেসের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। কারণঃ
- অনলাইন প্লাটফর্ম গুলোর অর্গানিক রিচ বাড়ে।
- অরগানিক অডিয়েন্স এনগেজমেন্ট বাড়ে।
- ব্র্যান্ডের রিকল ভ্যালু বাড়ে এবং বিজনেসের ভাইরাল হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
- মোমেন্ট মার্কেটিং এর মাধ্যমে সেলস ক্যাম্পেইনও চালানো যায়, যেখানে তুলনামূলক অনেক কম খরচে অনেক বেশি কনভারশন হয়।
- তুলনামূলক অনেক সাশ্রয়ী অধিকাংশ ক্ষেত্রে কনটেন্ট ক্রিয়েট করা ছাড়া আর তেমন কোন খরচ হয় না।
ডিজিটাল মার্কেটিং আগের থেকে অনেক বেশি স্মার্ট আর ক্রিয়েটিভ হয়েছে। আপনার টার্গেট অডিয়েন্সের বিহেভিয়ার অনেক চেঞ্জ হয়েছে। তাই আপনি যদি আপনার অনলাইন বিজনেসের নতুন নতুন মার্কেটিং টেকনিকগুলো এপ্লাই না করেন তবে দিন দিন আপনিই পিছিয়ে পড়বেন। মোমেন্ট মারকেটিং, এমবুশ মার্কেটিং, ইনফ্লুয়েন্সার মার্কেটিং এগুলো হল বর্তমান মার্কেটিং ট্রেন্ড। আর বর্তমান সময়ে অনলাইন বিজনেস গ্রোথের জন্য আপনি যদি ট্রেন্ডের সাথে তাল মিলিয়ে না চলেন তবে ট্রেন্ডই আপনাকে পিছে ফেলে দিবে।
ফেসবুক বুস্টিং কি । বুস্ট করার আগে যে বিষয়গুলো না জানলে আপনার পেইজের ক্ষতি হতে পারে !
ফেসবুক বুস্টিং কিঃ
বাংলাদেশে অনলাইন মার্কেটিং এর সবচেয়ে বড় মাধ্যম হচ্ছে ফেসবুক । ছোট, মাঝারি বা বড় সব ধরনের বিজনেসেই অনলাইন মার্কেটিং করলে অধিকাংশেরই অন্যতম প্রধান মার্কেটিং প্লাটফরম হচ্ছে ফেসবুক । আর ফেসবুক মার্কেটিং মানেই আমাদের দেশে ফেসবুকে পেইড এডস যা বুস্টিং হিসবেই সবচেয়ে বেশি পরিচিত । ফেসবুকের মাধ্যমে বিজনেস করতে চাইলে আপনাকে একটা পেইজ খুলতে হবে । যেখানে আপনার বিজনেস রিলেটেড কন্টেন্ট অর্থাৎ ছবি বা ভিডিও দিতে হবে । যেই কন্টেন্টগুলোর নিচেই আমরা দেখতে পাই Boost লেখা ।
এই বুস্ট বাটনে ক্লিক করে আমরা মূলত ফেসবুকে পেইড এডস দেই । নির্দিস্ট বাজেটে নির্দিষ্ট দিনের জন্যে এড দিয়ে আমরা মূলত ওই ছবি বা ভিডিওকে আমাদের টার্গেট কাস্টমারের কাছে পৌছে দেই ।
যখন আমরা আমাদের পেইজের কোন কন্টেন্টে এড দেই বা বুস্ট করি তখন আমাদের টার্গেটেড অডিয়েন্স তাদের ফেসবুকে সেগুলো স্পন্সরড কন্টেন্ট হিসাবে দেখতে পায় ।
উদাহরণঃ
ধরুন আপনার একটি রেস্টুরেন্ট রয়েছে নাম ABC Restaurent । আপনি ফেইসবুকে ABC Restaurent নামে একটা পেইজ খুললেন । এরপর পেইজে লোগো, কাভার সবকিছু দিয়ে একটা প্রফেশনাল লুক নিয়ে আসলেন । এখন পেইজে লাইক বা ফলোয়ার বাড়াতে চাচ্ছেন এবং পেইজে আপনি কিছু ফুডের ছবি ও ভিডিও আপলোড করেছে যেখানে আপনি কিছু লাইক কমেন্ট বাড়াতে চাচ্ছেন এবং আরো বেশি বেশি মানুষের কাছে পৌঁছাতে চাচ্ছেন । যা আপনি ফেসবুকে এড দিয়ে বা বুষ্ট করে করতে পারবেন । আপনার পেইজে লাইক বাড়ানোর জন্যে আপনি পেইজ লাইক ক্যাম্পেইন করতে পারেন, অনেকে যেটাকে পেইজ প্রোমট বলে চিনে থাকে । আর আপনার ফুডের ছবি অনেক বেশি মানুষের কাছে পৌঁছে অনেক অনেক লাইক কমেন্ট নিয়ে আসতে চাইলে আনি পোস্ট এংগেস্মেন্ট এড দিতে পারেন , সরাসরি বুসট বাটনে ক্লিক করে বা এড ম্যানেজার থেকে এড দিতে পারবেন । যেমন ধরুন ১০ ডলারের এড ২ দিনের জন্যে গুলশান এলাকার ২০-৩০ বছর বয়সের মানুষকে দেখাতে চাচ্ছেন, এছাড়াও ফেসবুক আরো অনেক ডিটেইল টার্গেটিং এর মাধ্যমে শুধুমাত্র আপনার প্রডাক্ট বা সার্ভিসে আগ্রহী কাস্টমারকে টার্গেট করা সম্ভব । সোজা কথায় ফেসবুককে আপনি করলে ফেসবুক আপনার বিজনেসকে প্রচার করে দিবে এবং এত কম খরচে এত ইফেক্টিভ মার্কেটিং আপনি আর কোন প্লাটফরমে করতে পারবেন না (আউট বাউন্ড মার্কেটিং এ)।
ফেসবুকে বুস্ট করতে বা এড দিতে কি কি লাগেঃ
বাংলাদেশ থেকে ফেসবুকে এড দিতে হলে আপনার একটি ডুয়েল কারেন্সি কার্ড লাগবে যেইটা প্রধান বলেই বাংলাদেশে বুস্টিং সার্ভিস দেয়া অনেক এজেন্সি বা কোম্পানি গড়ে উঠেছে ।একটা ডুয়েল কারেন্সি কার্ড হাতে পেয়ে ডিজিটাল মার্কেটার হয়ে যাওয়া এই সকল ব্যক্তি দেশে ডিজিটাল মার্কেটিং এর নামে যে বুস্টিং কালচার গোড়ে তুলেছে তাতে ডিজিটাল মাররেকেটিং ব্যপারটা অনেক সস্তা হয়ে পরছে । যাইহোক বুস্ট করার জন্যে আপনার ডুয়েল কারেন্সি কার্ড থাকলে আপনি নিজেই এড দিতে পারবেন যদি খুব বেশি প্রফেশনালি চিন্তা না করেন । বাংলাদেশে কয়েকটি ব্যাংক প্রিপেইড ডুয়েল কারেন্সি কার্ড দিচ্ছে । যেমনঃ Eastern Bank Ltd ( EBL ) Midland Bank, City Bank সহ আরও কয়েকটি রয়েছে । আপনার একটি পাসপোর্ট থাকেই আপনি এই সকল ব্যংক থেকে প্রিপেইড কার্ড নিয়ে ডলার ব্যবহার করতে পারবেন । কার্ড সম্পর্কে আর বিস্তারিত জানতে ব্যাংকগুলোর কল সেন্টারে করে করে জেনে নিতে পারেন ।
ফেসবুকে বুস্ট করা বা এড দেয়ার আগে যেই বিষয়গুলো আপনার জানা উচিত বা খেয়াল রাখা উচিতঃ
ফেসবুকে এখন অনেকেই বুস্ট করছে, কিন্তু কিছু ব্যপার না জেনে বুস্ট করলে আপনার পেইজ বা এড একাউন্ট রেস্ট্রিক্টেড হয়ে যেতে পারে যার ফোলে আপনি পরবর্তিতে আপনি আর ফেসবুকে বুস্ট করতে বা এড দিতে পারবেন না । এড দেয়াড় ক্ষেত্রে ফেসবুকের কিছু নীতিমালা ও গাইডলাইন রয়েছে যেগুলোকে Privacy Policy এবং Community Standerd বলে যেগুলো আপনাকে মেনে চলতে হবে এবং কিছু Suspicius বা Usual Activity Avoid করতে হবে ।

ফেসবুকে রেস্ট্রিশন ৪টি লেভেলে হয়ঃ
১। এড একাউন্ট লেভেলে
২। আইডি লেভেলে
৩। বিজনেস ম্যানেজার লেভেলে
৪। পেইজ লেভেলে
ফেসবুকে Ad Policy এবং Community Standard সম্পর্কে বিস্তারিত বলা আছে আপনি লিংকে গিয়ে বিস্তারিত পরে আস্তে পারবেন তবে আমি বাংলাদেশে অনলাইন বিজনেসগুলোর খুব কমন কিছু মিস্টেক এর কথা বলব যেগুলোর কারণে তাদের একাউন্ট রেস্টিক্টেড হয়ে যায় ।
১। গ্লোবাল ব্রান্ড এর এসেট বা কন্টেন্ট ব্যবহার করাঃ
২। ইমেজে কম্পেরিজন দেখানো বা বেশি বডিপার্ট দেখানোঃ
৩। ডিস্ক্রিপশনে কমিউনিটি ভায়লেন্স
৪। পেইজে অথেক্টিঙ্ক নয় এমন লিংক শেয়ার করা
৫। রেস্ট্রিশন রয়েছে এমন আইডি এড একাউন্ট বা পেইজে রাখা
৬। পার্সোনাল একাউন্ট থেকে ভুলভাল নিউজ শেয়ার করা
৭। কুপন দিয়ে এড দেয়া বা উল্টা পালটা পেমেন্ট মেথড এড করা
উপড়ের এই ব্যপারগুলো বাংলাদেশে অনলাইন বিজনেসগুলোর কমন মিস্টেক এর বাইরে আরো অনেক মেজর কারণ রয়েছে যেমন আপনি ড্রাগ, অস্ত্র, এলকোহল এই সবের এড দিতে পারবেন না। বাকী ইস্যুগুলো আপনি লিংক থেকে পড়ে জানতে পারবেন ।
রেস্ট্রিশন থেকে সেইফটির জন্যে কয়েকটি পরামর্শঃ
- ভেরিফাইড বিজনেস ম্যনেজার ব্যবহার করুন
- যেই আইডি দিয়ে এড চালাবেন সেইটার 2 Factor Authentaction অন করে রাখুন
- সবসময় নিজের কন্টেন্ট ব্যবহার করার চেষ্টা করুন
- বিজনেস পেইজ এবং আইডি থেকে উলটা পাল্টা লিংক শেয়ার করা থেকে বিরত থাকুন
- এক এড একাউন্ট থেকে খুব বেশি পেইজের এড দেয়া থেকে বিরত থাকুন
বিজনেসের জন্যে ফেসবুকে পেজ খোলার সঠিক নিয়ম (পর্ব-১, ক্লাসিক মুড)
বাংলাদেশে সোশাল মিডিয়া মার্কেটিং বলতে এখন পর্যন্ত ফেসবুক মার্কেটিংই সবচেয়ে এগিয়ে । তাই আপনার অনলাইন বিজনেসের জন্যে একটি প্রফেশনাল ফেসবুক পেজ খোলা খুবই গুরুত্ত্বপূর্ন। ফেসবুক পেজ খোলা কম বেশি সবাই হয়তো পারে । তবে একটি বিজনেসের জন্যে পার্ফেক্ট পেজ খোলার ক্ষেত্রে এমন কিছু বিষয় খেয়াল রাখা উচিৎ যা আপনার ফেসবুক পেজকে একটি প্রফেশনাল লুক দেবে । অল্প কিছু সময় নিয়ে এই লেখাটি পুরো পরলে আপনিও আপনার বিজনেসের জন্যে একটি প্রফেশনাল ফেসবুক পেজ খুলতে পারবেন ।
ফেসবুক বর্তমানে পৃথিবীর সবচেয়ে জনপ্রিয় ও বড় সোশ্যাল প্লাটফরম যেখানে সবধরনের ক্রেতা বা গ্রাহক বিচরণ করে। সেখানে আপনি খুব সহজেই আপনার ক্রেতা বা গ্রাহক খুজে পেয়ে যাবেন।
কিন্তু গতানুগতিক নিয়মে এই প্লাটফরমে মার্কেটিং করে হয়তো সাময়িক কিছু সফলতা পাওয়া গেলেও দীর্ঘ মেয়াদে কঠিন। কারণ সবাই আপনার মতই তাদের পন্য নিয়ে মার্কেটিং করছে বা করবে। তাই প্রতিদ্বন্দিতায় ভালো করতে হলে এখানে খুবই পরিকল্পিত ও কৌশলীভাবে কাজ করতে হবে। ফেসবুক মার্কেটিং এর ৯০% – ই অপরিকল্পিত যা ব্যাক্তি পর্যায়ে অনভিজ্ঞ বুষ্টিং এর মাধ্যমে হয়ে থাকে । ১০০% ফলাফল পেতে প্রয়োজনে অভিজ্ঞদের সহযোগীতা নেওয়া যেতে পারে।
আপনার ফেসবুক ব্যবসায়িক পেজটি আকর্ষনীয় ও প্রফেশনাল হওয়া জরুরী, অর্থাৎ লুকটি প্রফেশনাল হতে হবে।
চলুন দেখে আসি বিজনেসের জন্যে ফেসবুকে পেজ খোলার সঠিক ধাপ গুলি :বর্তমানে ফেসবুকের দুটি মুড চালু আছে। ক্লাসিক মুড ও নিউ ফেসবুক মুড।আজ আমরা ক্লাসিক মুড নিয়ে আলোচনা করবো।
- Page Create করা
- পেজের Category নির্বাচন
- Page Name নির্ধারন
- ব্যবসার Category নির্বাচন
- Profile Picture সেট করা
- Cover Photo সেট করা
- About লেখা
- Page Info লেখা
- Settings ঠিক করা
- Call–To–Action বাটন যুক্ত করা
১. Page Create করা :
ক্লাসিক মুড এ কয়েকভাবে আপনি Page Create করতে পারেন।
প্রথমত, আপনার পারসনাল একাউন্ট এর সার্চ বারের Home এর পাশে “Create” বাটনটি আছে নিচের দেওয়া ছবির মত করে।
আপনি “Create” এ ক্লিক করলে আর একটি পপআপ মেনু আসবে নিচে দেওয়া ছবির মত।
এখানে “Page” লিখা অপশনে ক্লিক করে আপনি Business Facebook Page Create শুরু করতে পারেন।
দ্বিতীয়ত, আপনার পারসনাল একাউন্ট এর বাম পার্শ্বে পতাকার ছবি সমৃদ্ধ “Pages” লিখা অপশন এ ক্লিক করেও আপনি Business Facebook Page Create শুরু করতে পারেন।
“Pages” লিখা অপশনে ক্লিক করলে আর একটি নতুন উইনডো ওপেন হবে নিচে দেওয়া ছবির মত।
এখানে “Create Page” লিখা অপশনে এ ক্লিক করেও আপনি Business Facebook Page Create শুরু করতে পারেন।
তৃতীয়ত, আপনি সার্চ আপশনে “Create Page” লিখে সার্চ দিলে নিচের ছবির মত অপশন আসবে।
এই দুটি অপশনের প্রথমটিতে ক্লিক করেও আপনি Business Facebook Page Create শুরু করতে পারেন।
আর দ্বিতীয় অপশন “Pages” ক্লিক করলে আর একটি নতুন উইনডো ওপেন হবে নিচে দেওয়া ছবির মত।
এখানে “Create Page” লিখা এ ক্লিক করেও আপনি পেজ ক্রিয়েট শুরু করতে পারেন।
২. পেজের Category নির্বাচন :
ফেসবুক তাদের পেজ দুই Category তে ভাগ করেছে- Business or Brand ও Community or Public Figure । যেহেতু আমরা Business পেজ খুলবো তাই আমরা “Business or Brand” পেজ এর “Get Started” এ ক্লিক করবো নিম্নের চিত্রের মত।
৩. Page Name নির্ধারন :
এই ধাপে আপনাকে আপনার ব্যবসার জন্য সবচেয়ে ইউনিক, শ্রুতিমধুর, সহজে মনে রাখা যায় ও আপনার ব্যবসাকে রিপ্রেজেন্ট করে এমন নাম ঠিক করতে হবে। নাম নির্ধারনের ক্ষেত্রে অবশ্যই চেক করে নিতে হবে যে নামটি পূর্ব থেকে কারো নেওয়া আছে কিনা। থাকলে কিছু পরিবর্তন করে দেখা যেতে পারে। ফেসবুকে একই নামে একাধিক পেজ খোলা যায়। কিন্তু পরবর্তীতে আপনার ক্রেতা আপনাকে খুজতে গিয়ে অন্যের পেজে চলে যেতে পারে। তাই ইউনিক নাম জরুরী। নাম আপনি বাংলা ইংলিশ বা যেকোন ভাষায় দিতে পারেন। নিম্নের চিত্রের স্থানে আপনাকে নাম বসাতে হবে।
৪. ব্যবসার Category নির্বাচন :
এবার আপনাকে আপনার ব্যবসার ধরন নির্বাচন করতে হবে। ব্যবসার ধরনের প্রথম দু-তিনটে অক্ষর চাপতেই ফেসবুক আপনাকে সাজেশন দিতে থাকবে। আপনি একাধিক ক্যাটাগরি নির্বাচন করতে পারেন। তবে অবশ্যই সুনির্দিষ্ট করে দেওয়া ভালো। এত ফেসবুক বুঝবে আপনার ব্যবসার ধরণ কি এবং সেধরনের ব্যবসা যারা খুঁজবে তাদের সামনে আপনার পেজ হাজির করবে। এরপর “Continue” এ ক্লিক করুন নিম্নের চিত্রের মত।
৫. Profile Picture সেট করা :
এবার আপনার ব্যবসার লোগো বা এমন ছবি সেট করতে হবে যা আপনার ক্রেতার কাছে আপনার ব্যবসাকে সহজে বুঝতে সাহায্য করে। নিচের ছবির মত করে ছবি আপলোড দিলেই নির্দিষ্ট জায়গায় সেট হয়ে যাবে।
৬. Cover Photo সেট করা :
প্রোফাইল ফটোর মত পেজের কাভার ফটো নিম্নে ছবির মত করে আপলোড করলে নির্দিষ্ট স্থানে সেট হয়ে যাবে।
৭. About লেখা :
আপনার পেজ তৈরী হয়ে গেছে যা দেখতে নিম্নের চিত্রের ন্যায় হবে।
নিম্নের চিত্রের ন্যায় See more-এ ক্লিক করে About –এ চলে যাব।
নিম্নের চিত্রের ন্যায় About –এ ক্লিক করে পাচটি বিষয় আপনাকে ঠিক করে দিতে হবে।
প্রথমত User Name। ক্রেতা টাইপ করে যাতে সহজেই আপনার পেজ খুজে পায় সেজন্য আপনাকে User Name সেট করতে হবে।
২য়, ৩য় ও ৪র্থ তে আপনাকে ফোন নাম্বার, ইমেইল এড্রেস ও অয়েবে এড্রেস (যদি থাকে) যুক্ত করতে হবে।
৫ম তে Our Story সেকশনটা ভালো ভাবে সাজাতে হবে। প্রয়োজনীয় লোগো বা ব্যবসাকে রিপ্রেজেন্ট করে এমন ছবি ও আপনার পেজ খোলার কারণ, ইতিহাস, লক্ষ, উদ্দেশ্য সুন্দর করে সাজিয়ে গুছিয়ে উপস্থাপন করতে হবে।
৮. Page Info লেখা :
নিম্নের চিত্রের ন্যায় Edit Page Info –এ ক্লিক করে পাচটি বিষয় আপনাকে ঠিক করে দিতে হবে।
প্রথমত Description । ক্রেতাকে আপনার ব্যবসায়ীক পেজের একটি সংক্ষিপ্ত বিবরণ দিতে হবে যাতে সে সহজেই আপনার ব্যবসা ও পেজ সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারনা পেয়ে যায়।
দ্বিতীয়ত, ব্যবসার ঠিকানা সহজবোধ্য ভাবে বর্ণনা দিলে ক্রেতা সহজেই ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে আসতে পারবে।
তৃতীয়ত, ম্যাপে ব্যবসার লোকেশন সেট করে দিলে ক্রেতা আসার ক্ষেত্রে ম্যাপ তাকে সাহায্য করবে।
চতুর্থত, আপনার ব্যবসায়ীক এরিয়া সেট করে দিলে ক্রেতা সহজেই বুঝে যাবে যে সে আপনার সার্ভিস নিতে পারবে কিনা এবং সে আনুযায়ী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারবে।
পঞ্চমত, আপনার সার্ভিস টাইম সেট করে দিলে ক্রেতা সে অনুযায়ী আপনার সাথে যোগাযোগ করবে।
৯. Settings ঠিক করা :
এবার চিত্রের ন্যায় সেটিং এ ক্লিক করি।
Facebook Page Settings >>
পেজ সেটিং অনেক বড় একটি বিষয়। এখানে গুরুত্বপূর্ন কয়েকটি টপিকে শুধু আলোকপাত করবো।
> Page Roles : সেটিং এর একটি গুরুত্বপূর্ন অংশ হলো Page Roles । এই অপশনের মাধ্যমে চাইলে আপনি পেজের দায়িত্ব অন্য কাউকে/প্রতিষ্ঠানকে দিতে পারবেন। যেহেতু আপনি ব্যবসায়ী, সেহেতু আপনি ব্যস্ত থাকতেই পারেন। আপনার হয়ে আপনার পেজের সমস্ত দায়িত্ব পালন করতে পারে কোন ব্যাক্তি বা প্রফেশনাল কোন প্রতিষ্ঠান। এতে আপনার সময় বাঁচবে।
>Messaging এবং Advance Messaging –এর মাধ্যমে আপনি আপনার ক্রেতাকে তাৎক্ষনিক মেসেজের রিপ্লে করতে পারেন নিজে মেসেজ না করেও। এছাড়াও আপনি ছুটিতে বা ভ্রমনে থাকা অবস্থায় আপনার ক্রেতাকে এই সয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে মেসেজ দিয়ে কানেকটেডে রাখতে পারেন পেজে।
>General অপশনের ভিতরে কিছু অপশন নিয়ে কথা বলি। যেমন:
>>Page Visibility: পেজ ক্রিয়েট হওয়ার পরে পেজ Publish থাকে। আপনি চাইলে এই অপশন থেকে পেজকে Unpublished রেখে ভালোভাবে সাজিয়ে গুছিয়ে তারপর Publish করতে পারেন।
এছাড়াও আরো অপশন আছে যা আপনাদের প্রয়োজনমত আপনারা সেট করে নিতে পারেন। কিভাবে নোটিফিকেশন পেতে চান? পেজে অণ্য কাউকে পোষ্ট করতে দিতে চান কিনা, কোন নির্দিষ্ট বয়সকে পেজ থেকে দূরে রাখতে চান কিনা ইত্যাদি।
১০. Call–To–Action বাটন যুক্ত করা :
নিম্নের চিত্রের ন্যায় Add a Button-এ ক্লিক করে
আপনি চাইলে ইচ্ছেমত বিভিন্ন বাটন যুক্ত করতে পারবেন। যেমনঃ Book Now, Contact Us, Sign Up, Send Message, Send Email, Call Now, Whats App, Watch Video, Learn More, Shop Now, See Offer, Buy Gift Card, Order Food, Use App অথবা Play Game। আপনার যে বাটনটি প্রয়োজন সে বাটনটি যুক্ত করুন। এই প্রত্যেকটি বাটনে প্রয়োজনীয় লিঙ্ক যুক্ত করা যায়। তাই ওয়েবসাইটের ভিজিটর বৃদ্ধির জন্য এ বাটনটি ব্যবহার করতে পারেন।
লোকাল এসইও কি এবং কেন আপনার বিজনেসের জন্যে এত গুরুত্ত্বপূর্ন
বর্তমান যুগে সার্চ ইঞ্জিন সেবাদানকারী যেমন গুগোল সহ সবরকম প্রতিষ্ঠানগুলো প্রতিনিয়ত চেষ্টা করে যাচ্ছে সার্চ ইঞ্জিনে ভিজিটরদের জন্য সবচেয়ে সঠিক ও নিখুঁত রেজাল্ট প্রদানের জন্য। আর আমরা সবাই জানি এই সার্চইঞ্জিনে রেজাল্ট আসার একমাত্র উপায় হচ্ছে এসইও। অর্থাৎ আপনি যদি আপনার ওয়েবসাইটে সঠিক ভাবে এসইও করে থাকেন তাহলেই আপনার ওয়েবসাইটটি সার্চ ইঞ্জিনের রেজাল্ট এ প্রথম সারির দিকে থাকার সম্ভাবনা বেশি । এ কারণেই সাধারণ এসইও এর পাশাপাশি লোকাল এসইও সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ। তো চলুন আজকে জেনে নেই লোকাল এসইও কি এবং কেন আপনার বিজনেসের জন্য এত গুরুত্বপূর্ণ।
বর্তমান যুগে ইন্টারনেট ব্যবহারকারী সবাই তাদের দৈনন্দিন জীবনের সব রকম সমস্যার সার্চ করে সমাধান করার চেষ্টা করে। অর্থাৎ তারা তাদের সমস্যাগুলো সার্চ করে সার্চ ইঞ্জিন থেকে সমাধান খুঁজে নেয়। নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস থেকে শুরু করে কেনাকাটা ওষুধ এমনকি অনেক বড় বড় সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানকেও ব্যবহারকারীরা খুঁজে বের করে নেয়।
লোকাল এসইও সম্পর্কে জানতে হলে আপনাকে অবশ্যই এসইও সম্পর্কে ধারণা থাকতে হবে আমরা জানি এসইও হল সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন এর মাধ্যমে আপনার ওয়েবসাইট কে সার্চ ইঞ্জিনের প্রথম পৃষ্ঠায় আনার একটা প্রযুক্তিগত কৌশল। তাহলে লোকাল এসইও কি। লোকাল এসইও এর পূর্ণরূপ হল লোকাল সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন। যেটা দ্বারা কোন নির্দিষ্ট অডিয়েন্স বা কাস্টমারকে টার্গেট করে ওয়েবসাইটের রেজাল্ট কে সার্চ ইঞ্জিনের করার জন্য অপ্টিমাইজ করার একটা পদ্ধতি। আমরা জানি এসইওর মাধ্যমে আপনার ওয়েবসাইট কে অনলাইনে সমগ্র বিশ্বের অডিয়েন্সকে টার্গেট করার সুযোগ সুবিধা দেয়। কিন্তু আপনার ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান যদি অফলাইন বা লোকাল ভাবে সার্ভিস দিয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই সব সময় সার্চ ইঞ্জিনের মাধ্যমে আপনি কাস্টমার বা অডিয়েন্স পাবেন না। এর জন্য আপনাকে করতে হবে লোকাল এসইও।
ছোট্ট একটা উদাহরণের মাধ্যমে বিষয়টি ক্লিয়ার করা যাক। মনে করুন উত্তরাতে একটা ফার্নিচারের দোকান আছে। যারা অফলাইনে বা নির্দিষ্ট একটা এলাকাতেই তাদের পণ্য গুলো বিক্রি করে থাকে এবং তাদের দোকানের কোন শাখা নাই। এখন এই প্রতিষ্ঠানের যদি তাদের একটা ওয়েবসাইটের মাধ্যমে এসইও করে থাকে এবং এবং রেজাল্ট যদি খুলনা থেকে বা বিদেশ থেকে কেউ দেখে থাকেন তাহলে তাহলে তার জন্য এই দোকান থেকে পণ্য বা ফার্নিচার কেনা খুবই অসম্ভব বিষয় হয়ে যাবে। কারণ সে এতদূর থেকে কখনোই তার ফার্নিচার বা পণ্য কিনতে আসবেনা। কিন্তু মনে করুন উত্তরা তেই কেউ ফার্নিচারের বিষয়ক নির্দিষ্ট কিওয়ার্ড লিখে সার্চ করলো এবং উক্ত ফার্নিচারের ওয়েবসাইট সার্চ রেজাল্টে আসলো। তাহলে কিন্তু অবশ্যই উক্ত ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানের পন্য বিক্রি করতে অনেক সুবিধা হবে,। এটাই মূলত লোকাল এসইও। অর্থাৎ আপনার নির্দিষ্ট এলাকা জুড়ে অডিয়েন্স গুলো টার্গেট করে আপনি আপনার ব্যবসায়িক বৃদ্ধির জন্য যে এসইও করা হয় সেটাই মূলত লোকাল এসইও। লোকাল এসইও এইসব কাজ আরও সহজ করে তোলে এবং আপনার গ্রাহক বাভিজিটরকে আপনাকে খুব সহজেই খুঁজে পেতে সহায়তা করে।
এ ধরনের এসইওর জন্য আপনার ঠিকানা শহরের নাম এবং বিস্তারিত বিবরণ দিয়ে অপটিমাইজেশন করা হয়ে থাকে। সহজভাবে বলতে গেলে আপনাকে এমন ভাবে সার্চ ইঞ্জিনে অপটিমাইজ করতে হবে যাতে সবাই আপনাকে খুব সহজে এবং অনলাইনে এবং অফলাইনে দুইভাবেই খুঁজে পাই।
লোকাল এসইও কনসেপ্ট
আমরা যখন google.com লিখে আমাদের সার্চ বারে সার্চ করি তাহলে অবশ্যই দেখবেন আমাদের গুগল বিডিতে নিয়ে যাবে। কখনো কি ভেবে দেখেছেন এটা কিভাবে হয়? এটা মূলত লোকাল এসইও মাধ্যমেই হয়ে থাকে। আপনি যখন কোন কিছু কিনতে বা ধরুন কোন ইলেকট্রনিক্স পণ্য কিনতে গুগলে সার্চ দিবেন তাহলে কিন্তু আপনি অবশ্যই দেখবেন আপনি যে এলাকাতে আছেন বা আপনি যে জেলাতে আছেন সেই জেলার রেজাল্ট গুলোই আপনার সার্চইঞ্জিনে আগে দেখাবে। অবশ্যই বাইরে থেকে দেখাবে না যদি না আপনি নির্দিষ্ট এলাকার নাম লিখে সার্চ করেন। আপনি যখন লোকাল ভাবেই কোন কিছুর জন্য সার্চ করে থাকবেন তখন আপনি আপনার আশেপাশের রেজাল্টগুলো পেয়ে থাকবেন। আর লোকাল এসইও বিষয়টা গুগোল খুব গুরুত্বপূর্ণ ভাবে দেখে আর এই কারনেই গুগল সার্চ ইঞ্জিনের মাধ্যমে আপনার সবচেয়ে উপযোগী তথ্যটাই সব সময় দেখানোর চেষ্টা করে থাকে।
লোকাল এসইও কত প্রকার
সার্চ ইঞ্জিনের অ্যালগরিদম সহ সমস্ত বিষয় ক্রমাগত আপডেটের জন্য তারা ব্যবহারকারীর প্রয়োজন সার্চের বিষয় এবং কিওয়ার্ডগুলো অ্যানালাইসিস করার চেষ্টা করে যাচ্ছে। কোন ধরনের রেজাল্ট দেখাবে তা নির্ভর করে ব্যবহারকারী কি ওয়ার্ল্ড এবং তার লোকেশন এর উপর নির্ভর করে। সাধারণত কিওয়ার্ড এবং সার্চ ভলিউম এর উপরে নির্ভর করেই লোকাল এসইও বিবেচনা করা হয়ে থাকে। আর এই ভিত্তিতেই লোকাল এসইও দুই ভাগে ভাগ করা যায় একটি হলো আইপি নির্ভর এসইও এবং অন্যটি লোকেশন নির্ভর এসইও।
আইপি নির্ভর এসইও সার্চ:
যখন আপনি সার্চ ইঞ্জিনে কোন প্রোডাক্ট বা কোন সার্ভিসের নাম লিখে সার্চ করবেন তখন সার্চ ইঞ্জিন আপনার আইপি উপর নির্ভর করে আপনার সব থেকে কাছের তথ্যটাই আপনাকে দেখাবে। যেমন আমরা গ্রামীনফোনের কাস্টমার কেয়ার লোকেশন খুজি বা আশেপাশের কোন ব্যাংক খুজি তখন এটা এই রেজাল্ট আইপি নির্ভর এর মাধ্যমেই আমাদের দেখানো হয়ে থাকে।
লোকেশন নির্ভর সার্চ:
আপনি যখন সার্চ ইঞ্জিনে কোন কিছু লিখে সার্চ করবেন কিন্তু কি-ওয়ার্ড এর সাথে একটা নির্দিষ্ট লোকেশন যুক্ত করে দিবেন। তখন আপনি যেখানেই থাকুন না কেন আপনার ওই নির্দিষ্ট জায়গার রেজাল্টগুলো আপনাকে দেখাবে, এটাই মূলত লোকেশন নির্ভর সার্চ।
লোকাল এসইও এর প্রয়োজনীয়তা
আমরা আগেই জানি এসইও খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং লোকাল এসইও আস্তে আস্তে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে যাচ্ছে। সার্চ ইঞ্জিন সবসময় ব্যবহারকারীর প্রয়োজনীয়তাই প্রাধান্য বেশি দেয়।
যেমন আপনার ইলেকট্রনিক্সের দোকান আছে এবং আপনার ওয়েবসাইটের এসইও করার মাধ্যমে আপনি ডেইলি চার থেকে পাঁচ হাজার ভিজিটর আপনার ওয়েবসাইটে পেয়ে থাকেন। কিন্তু অফলাইনে আপনার দোকানে বা আপনার শোরুমে কোন কাস্টমার আসে না। বলতে পারেন কেন? কারণ আপনি লোকাল এসইও করেননি। আপনার এই সার্চ রেজাল্টটা অন্য দেশের বা অন্য লোকেশনের মানুষ দেখতে পাচ্ছে। আপনার আশেপাশের লোকেশন থেকে কেউ সার্চ করলে আপনার ওয়েবসাইট টা আসছে না। এখন আপনি যদি লোকাল এসইও করেন তাহলে আপনার ওই এরিয়াতে ব্যবহারকারীরা যখন ইলেকট্রনিক্স এর কোন পণ্য বা দোকান সার্চ করবে তাহলে অবশ্যই সার্চ ইঞ্জিনে আপনার ওয়েবসাইটটা আগে আসবে। এবং তারা সহজেই আপনার ওয়েবসাইট এর মাধ্যমে আপনার দোকান খুঁজে পাবে। তবে আপনি যদি কুরিয়ার বা ডেলিভারির ব্যবস্থাও করে রাখেন বা অনলাইনেও সেবা দিয়ে থাকেন তাহলে আপনি গ্লোবালি এবং লোকাল দুইভাবে এসইও করতে পারেন দুইটাই খুব উপযোগী হয়ে থাকবে।
লোকাল এসইও এবং গ্লোবাল এসইও দুইটারই বর্তমানে ব্যাপক চাহিদা হয়ে উঠছে। কারণ আপনি যত বড়ই ব্যবসায়ী হন না কেন আপনার যত বড়ই দোকান বা শো-রুম থাকুক না কেন আপনার ব্যাবসার প্রচার না হলে আপনি কখনো সফলতা পাবেন না। সময়ের সাথে সাথে লোকাল এসইও ব্যাপকভাবে বিস্তার লাভ করছে। যেমন daraz.com, ajkerdeal.com, chaldal সহ সবরকম ওয়েবসাইটগুলি লোকাল এসইওর মাধ্যমে প্রতিদিন হাজার হাজার কাস্টোমার সেবা প্রদান করে যাচ্ছে। সেদিন খুব বেশি দূরে নয় যেদিন লোকাল এসইও গ্লোবাল এসইও থেকেও খুব বেশি জনপ্রিয় এবং চাহিদার প্রথম হয়ে উঠে আসবে।
Digital Marketing কি ? Digital Marketing এর জন্য সেরা ৮ টি মাধ্যম
বর্তমান যুগ ইন্টারনেটের যুগ। এখন ঘরে বসে মানুষ বিশ্বের সব খবরাখবর রাখতে পারছে । বলা যায় পৃথিবী এখন হাতের মুঠোয়। ডিজিটাল মার্কেটিং এর মাধ্যমে অল্প সময়ে ব্যবসায় সফলতার জন্য আগে আমাদেরকে জানতে হবে Digital Marketing কি? অল্প কথায় Digital Marketing হল ইলেকট্রনিক মিডিয়াকে ব্যবহার করে ইন্টারনেট দুনিয়ায় পণ্য, প্রতিষ্ঠান বা ব্র্যান্ডের প্রচারনা বা বিজ্ঞাপন দেয়া। বিশেষ করে সোশ্যাল মিডিয়াগুলোতে বিজ্ঞাপন দেয়ার হার বর্তমানে সবচেয়ে বেশি। এর কারণ বিশ্বে ৬২.৫ শতাংশ (২০২২ সালের হিসাব অনুযায়ী) মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করছে তার মধ্যে প্রায় ৭৫ শতাংশ মানুষ নিয়মিত সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে। তাই Social Media ও Digital মাধ্যমগুলো কে কাজে লাগিয়ে ব্যবসার পথ আরো সমৃদ্ধ হচ্ছে। আর ট্র্যাডিশনাল মার্কেটিং এর তুলনায় ডিজিটাল মার্কেটিং অনেক সাশ্রয়ী এবং লাভজনক । তাই বর্তমান সময়ে বিজনেসগুলোর জন্যে ডিজিটাল মার্কেটিং অনেক বেশি আবশ্যক।
এক নজরে Digital Marketing এর সেরা ৮ টি মাধ্যম
- Search engine optimization (SEO)
- Search Engine Marketing (SEM)
- Content marketing
- Social Media Marketing(SMM)
- Digital Display Marketing
- Mobile Marketing
- Email Marketing
- Affiliate Marketing
Search engine optimization (SEO)
Search engine optimization বা (SEO) হচ্ছে এমন একটি প্রক্রিয়া যার মাধ্যে কোন ওয়েব সাইটের কিওয়ার্ডকে সার্চ ইঞ্জিনে র্যাংক করানো হয় । খুব সহজে যদি একটি উদাহরন দিয়ে বলিঃ আমরা সবাই কম বেশি google.com এ সার্চ করি আর গুগলে যখন কোন কিছু লিখে সার্চ করা হয় তখন গুগোল আমাদেরকে কিছু সার্চ রেজাল্ট দেখায় নিচের ছবিগুলোর মত ।
উপরের ছবিতে আমরা দেখতে পাচ্ছি যে “SEO কি” এইটা লিখে সার্চ করার পরে গুগুল আমাদেরকে কিছু সার্চ রেজাল্ট দেখিয়েছে । এখন আপনাকে যদি আমি জিজ্ঞাসা করি আপনি সবচেয়ে আগে কোন রেজাল্টে ক্লিক করবেন ? প্রায় নিশ্চিতভাবে বলা যায় আপনি সবচেয়ে উপরের রেজেল্টটাতে ক্লিক কবেন অধিকাংশ ইউজারদের মত। অর্থাৎ গুগোল এর টপ পজিশনে থাকার করণে প্রথন লিংকটাতে সবচেয়ে বেশি ক্লিক পরবে। আর গুগোল সহ প্রতিটি সার্চ ইঞ্জিনের টপ পজিশনে আপনার Website যেকোন Keyword কে র্যাং করানোর প্রক্রিয়াই হল SEO । SEO করে টপ পজিশনে থাকা website এ সবচেয়ে বেশি ভিজিটর যাবে এটা আশা করি আপনি ইতিমধ্যেই বুঝে গেছেন । বাংলাদেশে SEO সার্ভিস প্রোভাইড করে এমন অনেক কোম্পানি রয়েছে যাদের সাথে তাল মিলিয়ে Care Ecom এর SEO Service এই ইন্ড্রাস্ট্রিতে সফলতার সাথে বিচরন করছে ।
SEO সাধারণত তিন ধরণের হয়ে থাকে-
- White hat SEO
- Gray Hat SEO
- black hat SEO
Search Engine marketing (SEM)
Search Engine marketing (SEM) হলো একটি ব্যাপক মার্কেটিং কৌশল যা প্রাথমিকভাবে আপনার ব্যবসায় ট্রাফিক ড্রাইভ করবে । যাকে আমরা Paid সার্চ মার্কেটিং বলে থাকি। আপনার ব্যবসার গঠনশৈলীর উপর ভিত্তি করে সাধারনত এ ধরনের মার্কেটিং করা হয়। এক্ষেত্রে PPC (পে-পার-ক্লিক করুন) অথবা CPC (ক্লিক পার ক্লিক ) মডেল ইত্যাদি মডেল নির্বাচন করা হয় । SEM সাধারনত বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে হয়ে থাকে। এর মধ্যে – Google Ads এবং বিং বিজ্ঞপ্তি (গুগল নেটওয়ার্কে), ইয়াহু বিং নেটওয়ার্ক বিজ্ঞপ্তি সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয়। SEM বর্তমান Digital Marketing এর সব চেয়ে সাশ্রয়ী Onliine Marketing যা কিনা আপনার রিটার্ন অন ইনভেস্টমেন্ট বাড়াতে সাহায্য করবে।
Content marketing
যে কোন বিষয় অথবা বস্তু সম্পর্কে একটি সাজানো কন্টেন্ট তার মান বাড়াতে সাহায্য করে। অনলাইনে আপনার কনটেন্ট, যেকোনপোস্ট কিংবা ফোরাম অথবা পণ্যের ডিসকাশনে যাতে আপনার টার্গেটেড কিওয়ার্ডের উপস্থিতি থাকে যাতে খুব সহজে আপনার টার্গেটেড পাঠক বা ক্রেতা আপনার পণ্যকে খুঁজে পেতে পারে সে দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। তাই সময় পর পর মাল্টিমিডিয়া কন্টেন্ট গুলোকে আপডেট করা উচিৎ। সোশ্যাল মিডিয়া কন্টেন্ট পোস্ট করার ক্ষেত্রে অটোমেটিক প্রক্রিয়া ব্যবহার করা উচিৎ। আপনি বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মের জন্য আপনার বিষয়বস্তু কাস্টমাইজ করতে পারেন।
উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, ইলেক্ট্রনিক পণ্যের জন্য বিষয়বস্ত সহজ এবং সংক্ষিপ্ত হতে হবে। মনে রাখবেন, একটি কার্যকর কৌশল আপনার পাঠক বা ক্রেতা তৈরি করবে এবং তারা আপনার কাছ থেকে আরো তথ্য জানতে আগ্রহী হবে। একটি ভাল কন্টেন্ট তৈরি করতে পারলে আপনার ব্যবসা ব্র্যান্ডিং জন্য সবচেয়ে ভাল উপায় হবে। তাই Digital Marketing এ ভালো কন্টেন্টের প্রতি মনোযোগী হওয়া উচিত।
Social Media Marketing(SMM)
বিশ্বে মোট ইন্টানেট ব্যবহারকারীদের ৭৫% কোন না কোন সোশ্যাল মিডিয়ার সাথে যুক্ত।এই বিশাল অংশের মানুষের কাছে সহজে পৌঁছানোর জন্য Social Media Marketing(SMM) একটি কার্যকর পদ্ধতি। সাধারণত সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং বলতে আমরা ফেসবুক, টুইটার, ইউটিউব, লিঙ্কডিন, পিন্টারেস্ট ও বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে মার্কেটিং করাকে বুঝি। বর্তমান বিশ্বে সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এর মধ্যে ফেসবুক আর ইউটিউব অনেক অনেক বেশি কার্যকরী এবং ফলপ্রসূ।
সারা পৃথিবীতে অনেক গুলো সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং আছে। তার মধ্যে নির্দিষ্ট কিছু দেশে নির্দিষ্ট কিছু সোশ্যাল মিডিয়া খুব বেশি জনপ্রিয়। যেমন- ইন্ডিয়া বাংলাদেশ পাকিস্তান এসব দেশে ইউটিউব, ইন্সটাগ্রাম, হোয়াটস অ্যাপ, ইমো, ভাইবার এই সোশ্যাল মিডিয়াগুলো খুব বেশি জনপ্রিয়। আবার আমেরিকান কান্ট্রিগুলোতে পিন্টেরেস্ট ও রেদ্দিট অনেক বেশি জনপ্রিয়, রাশিয়াতে ভিকে, স্তাম্বলআপন ও টুইটার অনেক বেশি জনপ্রিয়। আমার ফেসবুক এর মাধ্যমে যে মার্কেটিং করি তা ফেসবুক মার্কেটিং এর অন্তগত। ঠিক একইভাবে ইউটিউবে আমরা যে ভিডিও শেয়ার করে বা পোস্ট করে যে মার্কেটিং করি তা ইউটিউব মার্কেটিং এর অন্তগত। আপনি আপনার ওয়েবসাইট এর প্রোডাক্ট গুলো বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া তে শেয়ার করার মাধ্যমে ডিজিটাল মার্কেটিং করতে পারেন ।সমগ্র পৃথিবী এখন সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এর উপর নির্ভরশীল হয়ে যাচ্ছে । আপনি একটু চিন্তা করলে বোঝতে পারবেন আপনি লাস্ট কবে ফেসবুক বা ইউটিউব ব্যবহার করেন নি। তাহলে খুব সহজেই বুঝতে পারবেন এটার গুরুত্ব কতখানি। তাই Digital Marketing এ সোশ্যাল মিডিয়াগুলোকে কাজে লাগিয়ে আমূল পরিবর্তন সম্ভব।
Digital Display Marketing
ডিজিটাল ডিসপ্লে বিজ্ঞাপন গুলো তুলনামূলক কিছুটা ব্যয়বহুল । ওয়েবসাইট বা বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়াতে ব্যনার , স্লাইড শো , ছবি বা ভিডিও আকারে বিজ্ঞাপন প্রদর্শণ করাকে ডিজিটাল ডিসপ্লে মার্কেটিং বলা হয়ে থাকে। এসব বিজ্ঞাপন দিতে ব্যয় বেশি হলেও এগুলো গ্রাহক আকৃষ্ট করতে বেশি সাহায্য করে। বর্তমানে LED Display এর মাধ্যমেও অনেকে Digital marketing করছে। আধুনিক এই যুগে ক্রেতা আকৃষ্ট করার জন্য Digital marketing ই হতে পারে সবচেয়ে উত্তম মাধ্যম। তাই আমরা মনে করি প্রপার মার্কেটিং এ ব্যবসার ৭০% সফলতা নিহিত।
Mobile Marketing
জিএসএমএর হিসাবে বিশ্বজুড়ে মুঠোফোন সংযোগ সংখ্যা বর্তমানে ৪৯২ কোটি। এর মধ্যে ৫০ শতাংশ বা ২৪৬ কোটি সংযোগ ব্যবহৃত হচ্ছে স্মার্টফোনের মাধ্যমে। এটি ২০২০ সালে বেড়ে ৬৬ শতাংশ হবে।বর্তমান বিশ্বে স্মার্ট ফোন ব্যবহারের হার খুব দ্রুত বাড়ছে।মোবাইল ব্যবহার করে আরো বেশি সফলভাবে আপনার যেকোন পণ্যের প্রচার ও বিক্রয় করতে পারেন দ্রুত সময়ে। Digital marketing এর বিশাল অংশ স্মার্টফোন কে কেন্দ্র করে হচ্ছে।
মোবাইল মার্কেটিং এ বিভিন্ন ক্ষেত্র রয়েছে । তার মধ্যে অন্যতম-
- SMS Marketing
- MMS Marketing
প্রতি ৩ মিনিটে মোট ফোন ব্যবহারকারীর ৯৭% টেক্সট মেসেজ ওপেন করে থাকে। প্রতি সেকেন্ডে ৫২০৮৩ টি টেক্সট মেসেজ আদান প্রদান হয়ে থাকে। ২৫% আন্তর্জাতিক মিডিয়া এবং মার্কেটং এক্সজিকিউটিভ তাদের প্রতিষ্ঠানের সমস্যাগুলো মোবাইলেরমাধ্যমে সমাধান করে থাকে। ৭০% মোবাইল ব্যবহারকারীরা তাদের কেনাকাটার জন্য মোবাইল ফোন ব্যবহার করে থাকে। এসবের ভিত্তিতে বলা যায় মোবাইল মার্কেটিং ডিজিটাল মার্কেটিং এর অন্যতম মাধ্যম। মোবাইল প্রযুক্তি যত আপডেট হচ্ছে মানুষের চাহিদাও তত আধুনিক হচ্ছে ।তাই ব্যবসায়ীক প্রচারণাকেও আপডেট করতে হবে।আর এর জন্য Digital Marketing হতে পারে সবচেয়ে সঠিক ও যুগান্তকারী সমাধান। Bulk SMS Marketing এর সাথে অনেকেই কম বেশি পরিচিত । কারণ আমাদের সকলের ফোনেই কম বেশি বিভিন্ন রকম অফারের এসএমএস এসে থাকে যা অদিকাংশ ক্ষেত্রেই বিরক্তিকর প্রায় সবার কাছে । তবে সঠিকভাবে SMS Marketing করতে পারলে আপনি অবশ্যই লাভবান হতে পারবেন । কি ধরনের SMS পাঠাতে হবে এবং সেটা মাস্কিং নাকি নন মাস্কিং হবে তা সঠিকভাবে আগে থেকেই প্লান করে নিতে হবে । অন্যথায় অনেকের মত আপনার টাকাও জলে ঢালার মত অবস্থা হবে ।
Email Marketing
ইমেইল এর মাধ্যমে কোন পণ্য বা সার্ভিসের মার্কেটিং করাকে সাধারন ভাবে Email Marketing বলা হলেও এর ক্ষেত্র টি বিশাল। ইমেইল মার্কেটিং হচ্ছে একটি সাজানো আর্টিকেল বা কন্টেন্ট এর মাধ্যমে গ্রাহকের কাছে পণ্যের গুণাগুণ তুলে ধরে, তাকে ওই পন্য ক্রয়ে আগ্রহী করে তোলা। এর মাধ্যমে অল্প সময়ে গ্রাহকের কাছে পৌঁছে যাওয়া যায়। স্মার্ট ইমেইল প্রেরণের মাধ্যমে ব্যবসায় লাভবান হওয়া সম্ভব।
Email Marketing সাধারণত তিনটি ধাপে করা যেতে পারে-
- Email Template
- Email Collection
- Email Delivery
Email Template
প্রথমে Email Marketing এর জন্য ইমেইল টেম্পলেট বানাতে হবে। এক্ষেত্রে আপনাকে মাথায় রাখতে হবে যে, আপনার ইমেইলে যে পণ্যটি সম্পর্কে লিখবেন সেটি দেখতে কেমন হবে। তার উপর ভিত্তি করে সুন্দর শব্দ চয়নের মাধ্যমে ভালো আর্টিকেল বা কন্টেন্ট তৈরি করতে হবে যা পড়ে গ্রাহক যেন পণ্যের প্রতি আগ্রহী হয়ে উঠে। আর এতে সাহায্য করতে একটি সন্দর রেসপন্সিভ ইমেইল টেমপ্লেট।
Email Collection
Email Marketing এর অন্যতম একটি কাজ হলো প্রচুর পরিমাণ ইমেইল কালেক্ট করা। কারণ এই ইমেইল এড্রেসগুলোতেই আপনি পণ্য বা ব্যবসা সম্পর্কে আপনার বক্তব্য গ্রাহকের কাছে পাঠাবেন এবং ক্রয় করার জন্য উৎসাহিত করবেন। যত বেশি ইমেইল সংগ্রহ করা যাবে বিক্রির সম্ভাবনা তত বেশি বেড়ে যাবে । তবে সঠিক অডিয়েন্সের কাছে আপনার ইমেইল টি পাঠাতে হবে।
Email Delivery
ইমেইল মার্কেটিং এর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ধাপ হলো ইমেইল ডেলিভারী করা। ইমেইলগুলো ডেলিভারী করার জন্য SMTP (simple mail transfer protocol) সার্ভার প্রয়োজন হয় । সাধারন ভাবে আমরা মেইল পাঠানো জন্য যে সাইটগুলো ব্যবহার করি যেমন Verizon, Comcast, AOL, Gmail, Yahoo, GoDaddy, Earthlink ইত্যাদি। এই সাইটগুলো আপনাকে বেশি পরিমাণ মেইল একদিনে পাঠাতে দিবে না। অথচ আপনাকে হয়তো প্রতিদিন হাজার হাজার মেইল বা লক্ষ মেইলও পাঠাতে হতে পারে । তাই নিজে SMTP সার্ভার কিনে সেটআপ করে যত ইচ্ছা পাঠাতে পারবেন। একজন সফল ও ভালো মানের ইমেইলে মার্কেটার হতে হলে অবশ্যই আপনার একটি ভালো মানের SMTP সার্ভার প্রয়োজন হবে।
প্রপার Email Marketing হতে পারে কম খরচে ব্যপক Digital Marketing এর সবচেয়ে বড় উদাহরণ।
Affiliate Marketing
Affiliate Marketing কে সাধারণ ভাবে বলা যায় অন্যের প্রডাক্ট মার্কেটিং করা । অন্যর পণ্য বিক্রি করে যে কমিশন পাওয়া যায় সে কমিশনকে অ্যাফিলিয়েট কমিশান বলে। যেমন আমার দোকানের মাল আপনি প্রচার প্রচারনা করে বিক্রি করলেন। তার বিনিময়ে আপনাকে কিছু কমিশান দিলাম । সারা বিশ্বে হাজার হাজার কোম্পানি অ্যাফিলিয়েট অপশন রাখার ফলে তাদের প্রচুর প্রোডাক্ট বিক্রি হয় এবং হাজার হাজার মার্কেটার এই প্রডাক্ট বিক্রি করে কমিশন নিচ্ছে । Amazon, Alibaba Themeforest, ebey, সহ প্রায় সব বড় বড় কম্পানি অ্যাফিলিয়েট কমিশান দিয়ে থাকে। তবে সবচেয়ে জনপ্রিয় হচ্ছে Amazon affiliate. অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং বিভিন্ন ভাবে করা যায়।